যুক্তরাষ্ট্রের ভাণ্ডারে মজুদ থাকা পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম আমেরিকা এ তথ্য প্রকাশ করল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা তিন হাজার ৭৫০।
খবর আনাদোলুর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্রের এই সংখ্যা ছিল। আমেরিকা ও রাশিয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ। এর পরে রয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোপন পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তবে তারা তা কখনও স্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করে না।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষবারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা প্রকাশ করে বলেছিল, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আমেরিকার হাতে ৩,৮২২টি পরমাণু অস্ত্র মজুদ ছিল। ট্রাম্পের আমলে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করা হয় এবং দেশটির পরমাণু অস্ত্র আধুনিকায়ন করা হয়েছিল। ১৯৪৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকা ৭০ হাজারের বেশি পরমাণু ওয়ারহেড তৈরি করেছে, যা সব পরমাণু অস্ত্রধারী দেশের মোট পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য এ পর্যন্ত মার্কিন সরকার ৯.৬১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এ ছাড়া আমেরিকা হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা মানব ইতিহাসে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে কোনো দেশের ওপর হামলা চালিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।